যদ্যপি আমার গুরু – আহমদ ছফা

চার

প্রায় দশদিন পরে আবার রাজ্জাক স্যারের বাড়িতে গেলাম। একটু দেরি করেই গেলাম। যদি সকালে যাই, আমাকে নাস্তা খেতে ডাকবেন। আমি এড়াতে পারবো না। উনার বাড়িতে রোজ রোজ খেয়ে যদি উপাদেয় খাবারে রসন অভ্যস্ত হয়ে যায়, ইন্টারন্যাশনাল হোস্টেলে ফজলুর নাস্তা আমার জিভে রুচবে না। স্যারের বাড়িতে গিয়ে দেখি, আধাছেঁড়া গেঞ্জিটার ওপর খদ্দরের চাদর চাপিয়ে দাবার বোর্ডের সামনে বসে আছেন। বিপবীতে নিয়াজ মানে নিয়াজ মোর্শেদ। একালের গ্র্যান্ডমাস্টার। তখনও নিয়াজ একেবারে বাচ্চা। বোধহয় স্কুলও শেষ করেনি। নিয়াজকে একজন দক্ষ দাবারু হিসেবে গড়ে তুলতে রাজ্জাক স্যার অনেক কিছু করেছেন, মায় পারিবারিক বিপর্যয় সামাল দেয়া পর্যন্ত। দেখলাম, রাজ্জাক স্যার এবং নিয়াজ দাবা খেলার টেকনিক, ফন্দিফিকির নিয়ে গভীর আলাপ করছেন। নানারকম চাল বোর্ডে দিয়ে বইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে নিচ্ছেন।

আমাকে দেখে স্যার সেই পুরানো হাসি হেসে বললেন, মৌলবি আহমদ ছফা বয়েন। আমি বসেই রইলাম। তিনি নিয়াজের সঙ্গে দাবা নিয়ে মত্ত হয়ে রইলেন। ঘড়ির কাটা নটার ঘর থেকে দশটার ঘরে এসেছে। বসে বসে আমার পায়ে ঝিম ধরার উপক্রম। আমি উঠে গিয়ে শেলফে বই দেখতে থাকলাম। সমাজবিজ্ঞান, রাজনীতি, ইতিহাস, রাষ্ট্রতত্ত্ব ইত্যাকার নানা বিষয়ের গম্ভীর মালাটের বই। আমার মনে হল এগুলোতে দাত বসাবার ক্ষমতা আমার জন্মায়নি। খোঁজাখুঁজি করতে করতে শেলফের একটা তাকে ফরাসি সাহিত্যের কিছু বইয়ের সন্ধান পেয়ে গেলাম। বালজাকের রচনাবলী, ফ্লবেয়ারের উপন্যাস, মোপাসাঁর রচনা, ভিকটর হুগোর বই—ফরাসি সাহিত্যের এতোগুলো প্রধান লেখকের বই একসঙ্গে আমি কোথাও দেখিনি। আমার হৃৎস্পন্দন বেড়ে গেলো। ইচ্ছে হল বালজাকের রচনার প্রথম খণ্ড এখুনি ধার চেয়ে বসি। যদি ধার দিতে তিনি অস্বীকৃত হন, লাইব্রেরিতে বসে পড়ার অনুমতি প্রার্থনা করি। কিন্তু আগ্রহটা চেপে গেলাম।

বেলা এগারোটার দিকে নিয়াজ গাত্ৰোত্থান করলো। রাজ্জাক স্যার আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, মৌলবি আহমদ ছফা চইল্যা যান নাই? আমি হাসতে চেষ্টা করলাম। স্যার টেবিলে পা দুটো উঠিয়ে দিয়ে যুৎ হয়ে বসলেন, আপনে এখন কী পড়াশোনা করবার লাগছেন।

আমি বললাম, কীভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছি না। আপনি যদি কিছু বইয়ের নাম বলে দিতেন।

স্যার শব্দ করেই হেসে উঠলেন। একই কথা মিঃ হ্যারন্ড লাস্কিরে কইছিলাম, তিনি লাইব্রেরি দেখিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, মাই বয় গো অ্যান্ড সোক।

আমি সঠিক অর্থটা বের করতে পারছিলাম না। লাইব্রেরিতে গো করা যায়, কিন্তু সোক কী করে সম্ভব। লাইব্রেরি তো গোসলখানা নয়। মনে হল, আমার কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থাটা স্যার বুঝতে পারলেন। তিনি বললেন, প্রথম লাইব্রেরিতে ঢুইক্যাই আপনার টপিকের কাছাকাছি যে যে বই পাওন যায় পয়লা একচোটে পইড়া ফেলাইবেন। তারপর একটা সময় আইব আপনে নিজেই খুঁইজ্যা পাইবেন আপনের আগাইবার পথ। রাজ্জাক স্যার অগ্রসর হওয়ার রাজপথটা সেদিন এমনি করে চোখে আঙুল দিয়ে যদি দেখিয়ে না দিতেন হয়তো আমার আরব্ধ গবেষণাকর্মটি আমি একভাবে-না—একভাবে শেষ করতে পারতাম।

সেসব কথা থাকুক। স্যার হুঁকো টানতে টানতে অনুচ্চস্বরে কথা বলতে থাকলেন। খুব মনোযোগ দিয়ে না শুনলে তার উচ্চারিত বাক্য অনুধাবন করা যায় না। তিনি বললেন, বুঝলেন, মৌলবি আহমদ ছফা, লেখার ব্যাপারটি অইল পুকুরে ঢিল ছোড়া মতো ব্যাপার। যতো বড় ঢিল যতো জোরে ছুড়বেন পাঠকের মনে তরঙ্গটাও তত জোরে উঠব এবং অধিকক্ষণ থাকব। আর পড়ার পড়ার কাজটি অইল অন্য রকম। আপনে যখন মনে করলেন, কোনো বই পইড়া ফেলাইলেন, নিজেরে জিগাইবেন যে—বইটা পড়ছেন, নিজের ভাষায় বইটা আবার লিখতে পারবেন কি না। আপনের ভাষার জোর লেখকের মতো শক্তিশালী না অইতে পারে, আপনের শব্দভাণ্ডার সামান্য অইতে পারে, তথাপি যদি মনেমনে আসল জিনিসটা রিপ্রোডিউস না করবার পারেন, ধইরা নিবেন, আপনের পড়া অয় নাই।

মাঝখানে এক সপ্তাহ বিরতি দিলাম। পরবর্তী সপ্তাহে পরপর তিনদিন গেলাম। কোনোদিনই স্যারকে একা পেলাম না। নানান ধরনের মানুষ স্যারের কাছে আসছে তো আসছেই। কেউ আসছেন নতুন প্রকাশিত বই স্যারকে উপহার দিতে। কেউ দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবার আগে কীভাবে পড়াশোনা করবেন, স্যারের কাছে পরামর্শের জন্য। কেউ এসেছেন চাকুরির তদবির করতে। এমনকী এক ভদ্রমহিলাকে মৃদুস্বরে তার মেয়ের বিয়ে এবং তার নিজের খরচ মেটাবার অক্ষমতা প্রকাশ করতে শুনলাম। স্যার খুব অল্প কথায় জবাব দিলেন। চাকুরিপ্রার্থী ভদ্রলোককে জানালেন, আইচ্ছা ঠিক আছে আমি অমুকরো বইল্যা দিমুনে। হে যদি কথা না শুনে করনের কিছু নাই। ভদ্রমহিলাকে বললেন, আপনে দুই সপ্তাহ পর একবার আয়েন দেহি।

দ্বিতীয় দিনে গিয়ে দেখলাম রাজ্জাক স্যার সুট টাই পরা ফরসাপনা উচ্চা লম্বা এক ভদ্ৰলোকের সঙ্গে শেকসপীয়রের নাটক নিয়ে আলোচনা করছেন। কথায়—কথায় স্যার জানালেন, মার্চেন্ট অভ ভেনিসের শাইলকের সেই উক্তিটি আপনের মনে পড়ে কি না। ভদ্রলোক বললেন, কোনটা স্যার? আদালতে যখন শাইলককে শাস্তি দিবার ভয় দেখাইতেছিল, শাইলক জবাবে কইছিল, এ জ্যু’স ব্লাড ইজ অলসো রেড। এইখানেই শেকসপীয়রের আসল প্রতিভা ফুইটা বাইর অইছে। শেকসপীয়র ষোড়শ শতাব্দীর মানুষ। সেই সময় ইউরোপে ইহুদিগো কী অবস্থা ভাইব্যা দেখেন। ইউরোপের দেশে দেশে ইহুদিগো উপর যে ধরনের জুলুম অইতাছিল, হেইডারে হিটলারের অত্যাচারের চাইতে কিছুতে কম বলা যাইব না। এইরকম একটা সময়ে শেকসপীয়র মাত্র কলমের একটা টানে তামাম ইহুদিরে মনুষ্যসমাজের অংশ বইল্যা প্রমাণ করলেন, চিন্তা কইর‍্যা দেখেন কী অসম্ভব ব্যাপার। অঘটন-ঘটনপটিয়সী প্রতিভা বইলাই শেকসপীয়রের পক্ষে ওইটা সম্ভব অইছিল। বেবাক মধ্যযুগ তালাশ কইর‍্যা দেখলেও এইরকম বিদ্যুতের মতন ঝলক-দেওয়া একটা লাইন আপনে খুঁইজা পাইবেন না।

তৃতীয় দিনে দেখলাম এক খ্যাতনামা ইতিহাসের অধ্যাপকের সঙ্গে উনবিংশ শতাব্দীর রেনেসাঁ নিয়ে আলাপ করছেন। ভদ্রলোক বেঙ্গল রেনেসাঁ যে এই অঞ্চলের ইতিহাসে খুব বড় একটা ঘটনা, প্রমাণ করার জন্য অনেক কথা বলেছিলেন। রাজ্জাক স্যারকে ওই অধ্যাপকের জবাবে বলতে শুনলাম, আপনেরা নাইন্টিনথ সেঞ্চুরিকে গ্লোরিফাই করার জন্য যত কথাই বলেন না কেন, বেশি দূর নিয়া যাওন, আপনেগো সম্ভব অইব না। যখন সিপাহি বিদ্রোহ চলছিল আপনেগো তথাকথিত মহাপুরুষেরা কোন ভূমিকা পালন করেছিলেন, মনেমনে কমপেয়ার কইর‍্যা দেখলে নিজেই জবাব পাইয়া যাইবেন। আধুনিক বাংলা গদ্যের বিকাশই অইল নাইন্টিনথ সেঞ্চুরির সবচাইতে মূল্যবান অবদান।

আপনেরা রামমোহনরে এক্কেরে আকাশে তুইল্যা ফেলাইছেন। তার লগে মীর সওদার তুলনা করলে ফারাকটা বুঝতে পারবেন। মীর সওদারে উর্দু গদ্যের একজন জনক কওন যায়। মীর আর রামমোহন দুইজন কন্টেম্পারারি। একবার অযোধ্যার নবাব বাজার দেখবার গেছিলেন। বাজারের সমস্ত মানুষ নবাব সাবরে তাজিম দোহাইয়া বাঁচে না। সওদা তখন এক দোকানে বইয়া হুঁকা খাইতে আছিল, তারে যখন জানানো অইল নবাব সাব আইছে, আপনে তাজিম দেখাইতে আসেন। সওদা জবাব দিছিল, মাইভি উর্দু জবান কা নওয়াব হ্যায়। মগর কৌন পুঁছে? দুইজনের পার্সোনালিটি কম্পেয়ার কইর‍্যা দেখেন। রামমোহনরে বিলাত পাঠানোর সময় রাজা টাইটেল দিলেন বাহাদুর শাহ। কিন্তু বাহাদুর শাহরই কোনো রাজত্ব আছিল না। রামমোহন হেই টাইটেল গোটা জীবন আগলাইয়া রাখলেন।

ডিগবির দেওয়ান হিসাবে তা রামমোহন তার নতুন ক্যারিয়ার শুরু করলেন। ঘুষি খাওন থেইক্যা শুরু কইর‍্যা তার গুণের অন্ত আছিল না। রামমোহনের যদি আসল কীর্তির কথা বলবার চান অবশ্যই তার বাংলা গদ্য লেখার কথাটি স্বীকার করতে অইব। তার ত যোগ্যতা আছিল অঢেল। ইচ্ছা করলেই আরবি, উর্দু, ফারসি, সংস্কৃত ইংরেজি সব ভাষাতেই লিখতে পারতেন। এক্কেরে ডাইনে বামে না তাকাইয়া হি চুজ টু রাইট ইন বেঙ্গলি, এইডাই তার বড় কাজ। গৌড়ীয় বাংলা ব্যাকরণই অইল তার বড় অবদান। আপনেরা তার ধর্মপ্রচার এই সকল লইয়া বাড়াবাড়ি করেন। ভারতবর্ষে রামমোহনের মতো ধর্মপ্রচারক রামমোহনের আগে অনেকেই ছিলেন। রামমোহন অইল সেই ধারার শেষ মানুষ। এইডারে বড় কইর‍্যা দেখন ঠিক না। এন্টায়ার নাইন্টিনথ সেঞ্চুরির মধ্যে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর অইল সর্বাংশে একজন বড় মানুষ। বাইফার হি ইজ দ্যা বেস্ট।

এই তিনদিন নানা মানুষের সঙ্গে রাজ্জাক স্যারের যেসব কথাবার্তা হল, শুনে আমার মনে হল তাঁর বাক্য থেকে ঠিকরে মণিমুক্তো বেরিয়ে আসে। অতি সামান্য কথায়ও এমন তীক্ষ্ণ অন্তর্দৃষ্টির পরিচয় পাওয়া যায়, বিস্ময়ে অভিভূত না হয়ে পারা যায় না। তাজমহলকে সামনে থেকে, পেছন থেকে, ডাইনে থেকে, বায়ে থেকে যেদিক থেকেই দেখা হোক না কেনো দর্শকের দৃষ্টিতে ক্লান্তি আসে না, আরও দেখার পিপাসা জাগে। আমি রাজ্জাক সাহেবকে মনে মনে তাজমহলের সঙ্গেই তুলনা করতে থাকলাম। তার ব্যক্তিত্বের এমন একটা সুন্দর সম্মোহন রয়েছে, তার আকর্ষণ এড়ানো আমার পক্ষে অসম্ভব। ইন্টেলেকচুয়াল বিউটি তথা মনীষার কান্তি কী জিনিস আমাদের সমাজে তার সন্ধান সচরাচর পাওয়া যায় না। রাজ্জাক সাহেবের প্রতি প্ৰাণের গভীরে যে একটা নিষ্কাম টান অনুভব করেছি, ও দিয়েই অনুভব করতে চেষ্টা করি এথেন্স নগরীর তরুণেরা দলেদলে কোন অমৃতের আকর্ষণে সক্রেটিসের কাছে ছুটে যেতো।

পরের সপ্তাহে প্ৰায় প্রতিদিন সকালবেলা স্যারের ওখানে গিয়েছি। শেকসপীয়র বলেছেন, ফ্যামিলিয়ারিটি ব্রীডস কনটেম্পট—অতিপরিচয়ে সুন্দর সম্পর্কও মলিন হয়ে যায়। প্রত্যহের পরুষ স্পর্শে অত্যন্ত হাৰ্দ্য সম্পর্কের মধ্যেও ময়লা জমতে থাকে। রাজ্জাক স্যার সম্পর্কে আমার পূর্বের ধারণারও ঈষৎ পরিবর্তন করতে বাধ্য হলাম। রাজ্জাক সাহেব তাজমহল ঠিকই, তবে তাতে কোনো দরোজা জানলা নেই। থাকলেও তাতে কোনো ছিটিকিনি নেই। এদিকের হাওয়া ঢুকে ওদিক দিয়ে চলে যায়। ওদিকের হাওয়া এদিকে। ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন বার্নার্ড শ সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন, এ গুড ম্যান এ্যামাং দ্যা ফেবিয়ানস। রাজ্জাক সাহেবের অবস্থাও অনেকটা সেরকম।

তাঁর কাছে খুব বেশি মানুষ বুদ্ধিবৃত্তিক তৃষ্ণার টানে আসেন না। তাদের প্রায় সকলেরই একটা—না-একটা ধান্ধা থাকে। কারও চাকুরির উন্নতি, কারও অন্যবিধ তদবির। মতলববাজ মানুষরাই বেশির ভাগ সময় রাজ্জাক সাহেবকে ঘিরে থাকে। একটা দৃষ্টান্ত দিলেই জিনিসটা স্পষ্ট হবে। কাহিনীটা স্যারের মুখ থেকেই শোনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময়ের ডাকসাইটে উপাচার্য আবদুল মতিন চৌধুরী বিলেত থেকে পিএইচডি শেষ করার পর এক সন্ধেবেলা তার ডক্টোরাল থিসিসের একটা কপিসহ স্যারের সঙ্গে দেখা করতে এলেন। সৌজন্য বিনিময়ের পর চা-নাস্তা খেয়ে চলে গেলেন। ক্লাব থেকে ফেরার পর রাজ্জাক স্যার দেখেন যে ভুলক্রমে চৌধুরী সাহেব তার থিসিসটা ফেলে গেছেন। তিনি তখন মতিন সাহেবকে ফোনে জানালেন। আপনার থিসিস ফেইল্যা গেছেন। মতিন সাহেব জবাবে জানালেন আপনার পড়ার জন্য রেখে এসেছি। রাজ্জাক সাহেব বললেন, আমি ত কিছু বুঝবার পারুম না। মতিন সাহেব বললেন, সেকথা বলবেন না স্যার, আপনি মহাজ্ঞানী, আপনি না বুঝতে পারেন, এমন কোনো জিনিস দুনিয়াতে নেই। তখন রাজ্জাক সাহেবকে হলফ করে বলতে হলো তিনি সত্যি সত্যি কিছু বুঝতে পারবেন না। মতিন চৌধুরী সাহেব তখনই তার সংকল্পটা ব্যক্ত করলেন। আপনি থিসিসটা বুঝতে পারবেন না ঠিকই, কিন্তু সিলেকশন কমিটির দুয়েকজন মেম্বারের কাছে বলে দিতে হবে কাজটা খুব উত্তম হয়েছে।

সেই সময়ে মতিন চৌধুরী সাহেব ছিলেন একজন প্রফেসর পদপ্রার্থী। মতিন সাহেবের হয়ে তিনি অনুরোধ করেছিলেন কি না বলতে পারবো না। তবে যাঁরা তাঁর চারপাশে ঘুরঘুর করতেন, তাঁকে দিয়ে তাঁরা অনেক কাজ করিয়ে নিতেন। এইরকম দীপ্তিমান মনীষাসম্পন্ন একজন ব্যক্তি এই অজস্র বামুন-পরিবেষ্টিত অবস্থায় সকলের মাপে নিজেকে ছোটো করছেন কেনো তার কারণ আমি নিজেকেই বারবার জিগ্‌গেস করেছি। তার কারণ আবিষ্কার করতে অনেক সময় লেগেছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন