হাজার বছর ধরে – জহির রায়হান

আট

দেখতে-না-দেখতে হীরনের বিয়ের দিনটা ঘনিয়ে এলো।

একমাত্র মেয়ের বিয়ে, তাই আয়োজনের কোন কার্পণ্য করে নি বুড়ো মকবুল। সাড়ে আট টাকা দিয়ে একটা ছাগল কিনেছে সে। হাট থেকে চিকন চাল কিনে এনেছে আর আধ সের ঘি।

মিয়া বাড়ি থেকে কয়েকটা চিনে মাটির পেয়ালা আর বরতন ধার নিয়ে এলো আমেনা। বরপক্ষের লোকদের মাটির বাসনে খেতে দিলে ফিরে গিয়ে হয়তো বদনাম করবে ওরা, তাই।

বুড়ো মকবুলের শরীরটা ভালো নেই। চারদিকে ছুটাছুটি করবে সে শক্তি পাচ্ছে না সে। তাই বাড়ির অন্য সবার ওপরে বিভিন্ন কাজের ভার দিয়ে দিয়েছে। সুরত আলী, রশীদ, আবুল, মন্তু সবাই ব্যস্ত। বুড়ো শুধু দাওয়ায় একখানা সিঁড়ির উপর বসে তদারক করছে সব। খোঁজখবর নিচ্ছে। ভূঁইয়া বাড়ির গড়ের পাশে বড় মেহেদী গাছ থেকে মেহেদী তুলতে গেছে সালেহা আর ফকিরের মা।

আমেনা আর ফাতেমা, ঘরদোরগুলো লেপে মুছে ঠিক করে নিচ্ছে।

পুরো উঠেনটাকে ঝাড় দিয়ে পরিস্কার ঝকঝকে তকতকে করে তুলেছে ওরা। টুনি পুকুর ঘাটে, বাসনপত্রগুলো মাজছে।

যার বিয়ে, সেই হীরন রই ঘরের দাওয়ায় চুপটি করে বসে রয়েছে আর অবাক হয়ে বারবার মুখের দিকে তাকাচ্ছে সবার।

দুপুর রাতে পাড়াপড়শীরা অনেকে এলো। কাচাবাচ্চা ছেলেমেয়েদের দল। দুখানা বড় বড় চাটাই বিছিয়ে নিয়ে উঠোনে বসলো ওরা। তারপর সবাই এক সঙ্গে সুর করে গান ধরলো।

মেহেদী তোমরা লাগ কোন কাজে।

আমরা লাগী দুলহা কইন্যার সাজে।

ঢেঁকির উপরে তখন আম্বিয়াও গান ধরেছে। বিয়ের ধান ভানতে এসেছে সে। সন্ধে থেকে ঢেঁকির উপরে উঠেছে ও আর টুনি। তখন থেকে এক মুহূর্তের বিরাম নেই। উঠোনে মেয়েরা গান গাইছিলো। তাদের পাল্লা দেয়ার জন্যে টুনি আর আম্বিয়া দুজনে গলা ছেড়ে গান ধরলো।

ভাটুইরে না দিয়ে কলা
ভাটুইর হইবে লম্বা গলা।
সর্ব লইক্ষণ কাম চিক্কণ
পঞ্চ রঙের ভাটুইরে।

সহসা শব্দ করে হেসে উঠলো বুড়ো মকবুল। ওর মনটা খুশিতে ভরে উঠেছে আজ। জোরে জোরে কো টানছে, আর চারপাশে চেয়ে চেয়ে দেখছে সে।

হীরনকে মাঝখানে বসিয়ে ওর হাতে মেহেদী দিচ্ছে সবাই। মুখখানা নামিয়ে নিয়ে চুপ করে আছে মেয়েটা।

সুরতের ছেলেমেয়ে, কুন্দুস, পুটি, বিন্তি ওরা হাতে মেহেদী দেবার জন্যে কাঁদাকাটি শুরু করে দিয়েছে। এদের ধমকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিলো সালেহা।

মকবুল বললো, আহা তাড়াও ক্যান, বউ। একটুহানি মেহেদী ওগগাও দাও না।

হঠাৎ ফকিরের মা নাচতে শুরু করলো। অ্যাঁচল দুলিয়ে, কোমর ঘুরিয়ে ঘুরে ঘুরে নাচতে লাগলো সে।

কই গেলা সুরতের বিবি আমার কথা শোন।
আবের পাঙ্খা হাতে করি আউলাইয়া বাতাস কর।
ফুলের পাখা হাতে নিয়া জোরে বাতাস কর।

ওর নাচ দেখে ছেলে বুড়ো সবাই শব্দ করে হেসে উঠলো এক সঙ্গে।

ধান ভানা বন্ধ করে টুনি আর আম্বিয়াও বাইরে বেরিয়ে এলো।

আম্বিয়াকে আসতে দেখে নাচ থামিয়ে তার দিকে দৌড়ে এলো ফকিরের মা, হাত ধরে তাকে টেনে নিয়ে গেলো দলের মাঝখানে। তারপর ওকে লক্ষ্য করে ফকিরের মা গাইলো।

কেমন তোমার মাও বাপরে, কেমন ওরে হিয়া
এত বড় মাইয়া অইছ না করাইছ বিয়া।

ওর গানটা শেষ না হতেই আম্বিয়া নেচে উঠে গানের সুরে জবাব দিলো।

কেমন ওরে মাও বাপরে, কেমন ওরে হিয়া।
তোমার মত কাঞ্চন পাইলে এখন করি বিয়া।

দূর পোড়া কপাইল্যা, দূর দূর করে ওকে তাড়া করলো ফকিরের মা। দৌড়ে গিয়ে মন্তুর ঘরের মধ্যে ঢুকে দুয়ারে খিল দিলো আম্বিয়া। বাইরে ছেলে বুড়োদের রোল পড়েছে তখন। সালেহা হেসে বললো, কিরে আম্বিয়া, এত ঘর থাইকতে শেষে আমাগো মন্তু মিয়ার ঘরে ঢুইকা খিল দিলি?

আরেক প্রস্থ হেসে উঠলো সবাই।

মন্তু তখন উঠোনের মাঝখানে এসে দাড়িয়েছে।

ওকে দেখে গ্রামের রসুন নানী তার ফোকলা দাঁত বের করে একগাল হেসে বললো, কি মিয়া ডুইবা ডুইবা পানি খাও। ঘরে গিয়া দেহ কইন্যা তোমার ঘরে গিয়া খিল দিছে। মন্তু কি বলবে ভেবে পাচ্ছিলো না। হঠাৎ টুনির কণ্ঠস্বরে চমকে উঠলো সবাই।

তীব্র গলায় সে বললো, কি অইতাছে অ্যাঁ। কি অইতাছে। কাম কজি ফালাইয়া কি শুরু করছ তোমরা। অ্যাঁ?

সহসা সবাই চুপ করে গেলো। একে অন্যের মুখের দিকে তাকাতে লাগলো ওরা। টুনি ততক্ষণে রসুই ঘরের দিকে চলে গেছে।

মন্তু নির্বাক।

দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এসেছে আম্বিয়া। তার চোখমুখ পাকা লঙ্কার মত লাল। চিবুক আর গাল বেয়ে ঘাম ঝরছে ওর। কিছুক্ষণের জন্যে সবাই যেন কেমন স্তব্ধ হয়ে গেলো। একটু আগেকার সেই আনন্দ উচ্ছ্বল পরিবেশটা আর এখন নেই। ফকিরের মা বিড়বিড় করে বললো, এমন কি কইরছি যে রাগ দেহান লাগছে। বিয়া বাড়ির মধ্যেই হৈ-চৈ না কইরা কি কান্দাকাটি করমু? সালেহা বললো, আমরা না হয় মন্তু মিয়া আর আম্বিয়ারে নিয়া একটুখানি ঠাট্টা মস্করা কইরতাছিলাম, তাতে টুনি বিবির এত জ্বলন লাগে ক্যান? ওর কথা শেষ না হতে ঝড়ের বেগে রসুই ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে এলো টুনি। কি কইলা অ্যাঁ, কি কইল্যা অ্যাঁ। চুলগুলো বাতাসে উড়ছে ওর। চোখজোড়া জ্বলছে। সালেহা সঙ্গে সঙ্গে বললো, যা কইবার তা কইছি, তোমার এত পোড়া লাগে ক্যান। বলে মুখ ভ্যাংচালো সে।

পরক্ষণে একটা অবাক কাণ্ড করে বসলো টুনি। সালেহার চুলের গোছাটা ধরে হ্যাচকা টানে ওকে মাটিতে ফেলে দিলো সে। তারপর চোখেমুখে কয়েকটা এলোপাতারি কিল ঘুষি মেরে দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে গেলো টুনি। ঘটনার আকস্মিকতা কেটে যেতে চিৎকার করে কেঁদে উঠলো সালেহা। মনে হলো মুহূর্তে ওর মা মারা গেছে।

কান্না শুনে এঘর ওঘর থেকে বেরিয়ে এলো অনেকে।

মকবুল দাওয়া থেকে চিৎকার করে উঠলো, কিরে কি অইলো অ্যাঁ। কি অইলো।

রশীদ, সুরত সবাই ছুটে এলো সেখানে।

রশীদ বললো, কি কান্দবি, না কইবি কিছু, কি অইছে? সালেহা কোন জবাব দিলো না।

ফকিরের মা বুঝিয়ে বললো সব।

সালেহার কোন দোষ নেই। আম্বিয়া আর মন্তুকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করছিলো ওরা। টুনি বেরিয়ে এসে হঠাৎ সালেহাকে মেরেছে।

মাইরছে। মাইরছে ক্যান? রশীদ ক্ষেপে উঠলো।

ওকে রাগতে দেখে আরো জোরে কান্না জুলে দিল সালেহা।

বুড়ো মকবুল ব্রিত বোধ করলো। ইতস্তত করে বললো, মন্তু আর আম্বিয়া কই গেছে?

মন্তুকে ঘরের দাওয়াতে বসে থাকতে দেখা গেলো। কিন্তু আম্বিয়াকে পাওয়া গেলো না সেখানে। এই গণ্ডগোলের মধ্যে নীরবে এখান থেকে সরে পড়েছে সে।

ফকিরের মা বললো, ওগো কোন দোষ নাই।

কি ভেবে বুড়ো মকবুল একেবারে শান্ত হয়ে গেলো। আস্তে করে বললো, তোমরা হৈ চৈ কইরো না। বিয়ার সময় এই সব ভালো না। যা অইছে তার বিচার আমি করমু। খাটি বিচার আমি করমু। বলে দাওয়ার দিকে চলে গেলো সে। তারপর কোটা হাতে তুলে নিয়ে আবার বললো, কই তোমরা চুপ কইরা রইলা ক্যান? গীত গাও, হ্যাঁ গীত গাও।

ছেলে-বুড়োরা আবার হৈ-চৈ করে উঠলো।

ফকিরের মা আবার গান ধরলো।

এক বাটা পান এনে ওদের সামনে নামিয়ে রেখে গেলো আমেনা। বললো, খাও। কিছুক্ষণের মধ্যে পুরনো আবেশটা ফিরে এলো আবার। ফকিরের মা নাচতে শুরু করলো।

কেমন তোমার মাও বাপরে কেমন তোমার হিয়া।
এত বড় ডাঙ্গর অইছো না করাইছ বিয়া।

বিয়ের জন্যে কিনে আনা ছাগলটা ঘরের পেছনে বেঁ-তেঁ করে ডাকছে। চোখের কোণ জোড়া পানিতে ভেসে উঠেছে ওর।

ভোর রাত পর্যন্ত কেউ ঘুমালো না।

তারপর একজন দুজন করে যে যার ঘরে চলে যেতে লাগলো। মন্তু সবে তার ঝাঁপিটা বন্ধ করে দেবে এমন সময় বাইরে থেকে ধাক্কা দিল টুনি। ও কিছু বলার আগে ভেতরে এসে ঢুকলো সে। পান খেয়ে ঠোঁটজোড়া লাল করে এসেছে। মুখে একটা প্রসন্ন হাসি, হাতে মেহেদী। সঙ্গে একটা মাটির বাটিতে করে আরো কিছু মেহেদী এনেছে সে।

বাটিটা মাটিতে নামিয়ে রেখে টুনি আস্তে করে বললে, দেহি, তোমার হাত দেহি।

মন্তু বললো, ক্যান?

টুনি বললো, তোমারে মেহেদী দিমু।

মন্তু বললো, না।

টুনি বললো, না ক্যান, বলে ওর হাতটা টেনে নিলো সে। মাটিতে বসে ধীরে ধীরে ওর হাতে মেহেদী পরিয়ে দিতে লাগলো টুনি। মন্তু কোন বাধা দিলো না। নীরবে বসে শুধু তাকে লক্ষ্য করে মৃদু হাসলো। কিছুক্ষণ পরে টুনি আবার বললো, আমার একটা কথা রাইখবা?

কি?

এক বিয়া কর।

হুঁ।

দুজনের আবার চুপ করে গেলো ওরা।

ওর দুহাতের তালুতে সুন্দর করে মেহেদী পরিয়ে দিতে দিতে টুনি আবার বললো, আরেক কথা রাইখবা?

কি?

আমার পছন্দ ছাড়া বিয়া কইরবা না।

হুঁ। একবার ওর মুখের দিকে তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নিলো মন্তু। টুনি পরক্ষণে ওর হাতটা কোলের ওপরে টেনে নিয়ে ছোট একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো, কথা দিলা? বলে অদ্ভুতভাবে এর দিকে তাকালো টুনি। মন্তু কি বলবে ভেবে পেলো না। বার কয়েক ঢোক গিললে সে।

তারপর হঠাৎ করে বললো শাপলা তুলতা যাইবা?

মৃদু হেসে মাথা নাড়লো টুনি। না।

তাইলে চল, মাছ ধরি গিয়া।

টুনি আরো জুরে মাথা নাড়লো, না।

না ক্যান? মন্তুর কণ্ঠে ধমকের সুর।

টুনি হেসে বললো, লোকে দেইখ্যা ফেলাইলে কেলেঙ্কারী বাধাইবো। বলে উঠে দাঁড়ালো সে। মন্তুকে কথা বলার কোন সুযোগ না দিয়ে পরক্ষণে সেখান থেকে চলে গেলো টুনি।

বিয়ের পরে কটা দিন বাড়িটা একেবারে জন্য মনে হলো। ছেলে-বুড়ো সবাই চলে গেছে হীরনের সঙ্গে তার শ্বশুর বাড়ি। শুধু যায় নি মকবুল আর মন্তু।

মকবুল যায় নি তার অসুখ বলে। প্রায় বিকেলে জ্বর আসছে ওর। সকালে একেবারে ভালো।

মন্তুরও শরীরটা ভালো নাই বিয়ের দিন-রাতে বৃষ্টিতে ভিজে ঠাণ্ডা লাগিয়েছে সে। বুড়ো মকবুল বলেছে, থাক, তোর গিয়ে কাজ নেই। তুই পরে যাইছ। তাই থেকে গেছে সে।

বাড়ির মেয়েছেলেরা কদিন ধরে ঘুমুচ্ছে খুব। বিয়ের সময়ে দুচোখের পাতা এক করতে পারে নি কেউ, তাই।

বুড়ো মকবুল সাবধান করে দিয়েছে ওদের, অমন করে ঘুমায়ো না তোমরা, চোর আইসা সর্ব্বনাশ কইরা দিবো।

আর আইলেই-বা কি নিবো। আছেই-বা কি। আমেনা শান্ত স্বরে জবাব দিয়েছে। এর মনটা ভালো নেই। একমাত্র মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে শান্তি পাচ্ছে না সে। বড় একা একা লাগছে। কে জানে স্বামীর বাড়ি গিয়ে কত কষ্টই না সহ্য করছে হীরন।

আজ সকাল থেকে মরাকান্না জুড়েছে ফকিরের মা। মৃত ছেলেটার কথা মনে পড়েছে ওর। বেঁচে থাকলে হয়তো সে এখন বিয়ের বয়সী হতো।

জ্বর নিয়েও বুড়ো মকবুল পুকুর পাড়ে বসে মরিচের গাছগুলোতে পানি দিচ্ছে। ফাতেমা দুবার এসে ডেকে গেছে ওকে, আপনের কি অইছে। এই রকম কাজ কইরলে তো দুই দিনে মরবেন আপনে।

কথাটা কানে নেয় নি মকবুল। একমনে পানি ঢালছে সে।

মন্তুকে পাঠিয়েছে গাঁয়ের কোবরেজ মশায়ের কাছে। লক্ষণ বলে ঔষধ নিয়ে আসার জন্যে।

উঠোনে টুনিকে ডেকে তার হাতে ওষুধগুলো দিয়ে দিলো মন্তু। বললো, কবিরাজ মশায় কইছে, এইগুলান ঠিকমত খাইতে।

টুনি ওষুধগুলো হাত বাড়িয়ে নিতে নিতে বললো, কি অইবো ওষুধ খাইয়া, বুড়া মরুক। বলেই চারপাশে তাকালো টুনি, কেউ শুনলে কিনা দেখলো। মন্তু কোন জবাব দিলো না ওর কথায়। বেড়ার সঙ্গে ঝুলানো হুঁকো আর কল্কেটা নিয়ে রসুই ঘরের দিকে চলে গেলো সে। একটু পরে এক বাটি তেঁতুল মরিচ মেখে এনে মন্তুর সামনে বসলো টুনি।

অল্প একটু তেঁতুল মুখে পুরে দিয়ে গভীর তৃপ্তির সঙ্গে তার স্বাদ গ্রহণ করতে করতে টুনি শুধালো, খাইবা?

বাটিটার দিকে এক পলক তাকিয়ে নিয়ে মন্তু বললো, না। তারপর একমনে হুঁকো টানতে লাগলো সে।

টুনি বললো, কবিরাজ কি কইছে?

একরাশ ধুয়ো ছেড়ে মন্তু জবাব দিলো, কইছে, কিছু না, ভালো অইয়া যাইবো।

ভালো অইয়া যাইবোর চোখজোড়া কপালে তুললো টুনি।

নেড়ী কুকুরটা টুনিকে কিছু খেতে দেখে আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিলো। হঠাৎ দাওয়া থেকে পিঁড়ি তুলে ওর গায়ে ছুঁড়ে মারলো টুনি।

সারাদিন কেবল পিছে পিছে ঘুরে, কোনহানে গিয়া একটু শান্তি নাই।

পিঁড়ির আঘাতে ঘেউ ঘেউ করে সেখান থেকে পালিয়ে গেলো কুকুরটা।

পোস্টটি শেয়ার করুন